বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনস্টেবল আবু জাফর ও সাগর।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের কামাল চৌকিদারের ছেলে ইমরান হোসেন ইমন (২০) ও একই গ্রামের শাহ আলম আকনের ছেলে আকন অপূর্ব হাসান রণি (২২)।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করতে জড়ো হয়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়ি নিয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে রওনা হয়। বাসস্ট্যান্ডের কিছু আগে ব্রিজের কাছে পৌঁছলে তারা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে তিন-চারটি ককটেল ছুড়ে মারে। এরমধ্যে একটি ককটেল গাড়িতে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এতে কনস্টেবল আবু জাফর ও সাগর আহত হন। পরে পুলিশ টহল গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করে দুই যুবককে আটক করে।
এসময় বিস্ফোরিত তিনটি ককটেলের খোসা ও পলিথিনে মোড়ানো পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে। ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কোনো প্রকার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। পুলিশ মিথ্যা ককটেল হামলার নাটক সাজিয়ে বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করে কর্মসূচি ভেস্তে দিয়েছে।
এসময় আটকদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান বিএনপির এ নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
জিপি