দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি সাংবিধানিক রাজনৈতিক দল, আমরা গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চর্চা থাকুক এটা চাই, নূন্যতম ভোটাধিকারের অধিকার বজায় রাখা এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসি’র জন্য টেস্ট কেস। আর তা দেখেই আমরা পরবর্তী তিন সিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
রোববার (২৪ জুন) বিকেলে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এসময় ২৬ জুনের গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করেছে তারা সম্পূর্ণ অযোগ্য। যারা একটি সিটি নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না, তারা জাতীয় নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করবে। এরা প্রতিটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। যেনো- তোমরা যে যাই বলো, কানে দিয়েছে তুলা। কারণ সম্পূর্ণ দলীয় লোকজনদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা বারবার লক্ষ্য করেছি- সরকার, নির্বাচন কমিশন কথা শুনতে চান না, তাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেন তারা সেভাবে কাজ করেন। যার প্রমাণ দেখতে পেয়েছি, খুলনা সিটি নির্বাচনে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর দাবি জানিয়ে মহাসচিব বলেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপারের আওয়ামী লীগের দলীয় দায়িত্ব পালনে সুনাম রয়েছে। তাকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সরিয়ে দেওয়া উচিত। অথচ তিনি টেলিভিশনে বক্তব্যে দেন দাগি আসামিদের গ্রেফতার করছি, গ্রেফতার করে যাবো। কিন্তু গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের, যাদের নামে মামলা নেই, মামলা থাকলেও জামিনে রয়েছেন, তাদেরকে।
ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আপনারা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ভোট কেন্দ্রে যান, ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।
পরে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তবে আশঙ্কা এজেন্টরা কেন্দ্রে থাকতে পারবে কি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
এমএইচ/টিএ