সোমবার (০২ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল আজাদ এ আদেশের দিন ধার্য করেন।
এরঅাগে দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন বিএনপিপন্থি আইনজীবী জামিনের জন্য যুক্তিতর্ক উস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, ২৬ জুন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল আজাদ শুনানির জন্য সোমবার (২ জুলাই) দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদি হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৫ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে
চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। ’
এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুদ্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৮
এনটি