তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। উপরন্তু সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এলাকা ছাড়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
সোমবার (০৯ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সিসিক নির্বাচনে দলের এ সমন্বয়কারী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আরো অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশাল জনসংখ্যা মিলে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও উপস্থিত ছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ সভা করছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ যারা নির্বাচনী বিধিমালা মেনে চলছেন তাদের দমানোর চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগে বলেছেন, কিন্তু কমিশনের মতামত কি জানি না।
তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, রাজশাহীর মতো তারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেও অ্যাকশনতো দূরে থাক, সতর্ক করা হচ্ছে না।
নির্বাচনে অংশ নিয়ে এদেশের নাগরিকের ভোটাধিকারের চাহিদা দেখতে চাই উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, জনগণ তাদের সঠিক জবাব দিক। আগামী ৩০ তারিখে সিলেটের মানুষ সরকারের নির্বাচনী প্রকল্প ভেঙে দেবে। এই প্রকল্পে একটি নীলনকশা আছে, তা হলো মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো। অন্তত আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের জনতা সরকারের নির্বাচনী প্রকল্প ভেঙে জবাব দেবেন।
আরিফুল হক চৌধুরী-ই ২০ দলের প্রার্থী বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সিলেট সিটিতে জামায়াত নেতা ও বিএনপির নেতা বদরুজ্জামান সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা ২০ দলের প্রার্থী নয়। ২০ দল থেকে একমাত্র আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে শিগগিরই দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন ও মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা,জুলাই ০৯, ২০১৮
এনইউ/জেডএস