মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ বোঝে, আপনারা কি করছেন।
তিনি বলেন, আমরা যেকোনো সভা করার আগে এখন ভয় পাই। কেন ভয় পাই জানেন? ওই যে ব্লেম গেম। ওরাই পটকা মেরে বলবে আমরা পটকা মেরেছি। এটাই হচ্ছে সমস্যা। এই সরকার এই গেমগুলো খুব ভালো জানে। তারাই এ খেলা খেলে অভ্যস্ত।
খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ সেই জামিন আটকে দিয়েছেন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের কার উপর কিভাবে আস্থা রাখবো। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ আটকে রাখলেন। আমরা বিচার বিভাগের এই আদেশগুলোর মধ্যে সরকারের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।
এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা জনবিরোধীসরকার। কারণ তারা নির্বাচিত সরকার নয়। এই আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, তা প্রমাণ হয়ে গেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনের সময় অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এই সংগ্রাম-আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়। জনগণের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। এই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি খালেদা জিয়ার পক্ষে সবাইকে আহ্বান জানাই, আসুন সবাই মিলে এই ‘দানবকে’ পরাজিত করি। জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেই।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তফা, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস