নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের সদিচ্ছা থাকলে ওই টাকা দিয়ে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিন। দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের সদিচ্ছা খোলাসা করুন।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন>>>> জনগণের আস্থা হারিয়ে যন্ত্রে ভর করেছে সরকার: ফখরুল
১১টি কাজ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য ৪৪ হাজার ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করুন; এতে শ্রেণি কক্ষ সংকট কিছুটা হলেও দূরীভূত হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মোবিলিটি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করুন, ব্যালট পেপারের জালিয়াতি রোধে সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের জন্য অত্যাধুনিক প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন করুন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল পোলিং এজেন্ট ও অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন; তাদের জন্য সম্মানি ও ঝুঁকিভাতার ব্যবস্থা করুন, নির্বাচনে আনসার-ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ অত্যন্ত কষ্টকর দায়িত্ব পালন করেন; তাদের পর্যাপ্ত সম্মানি খোরাকি ভাতা দেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করুন। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, বর্তমান সরকারের নেতিবাচক ও ভোট কারচুপির কারণে জনগণ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়েছে। তাই ভোটারদের ভোট প্রদানে উদ্ধুদ্ধ ও আশ্বস্ত করার জন্য ভোটার সচেনতামূলক কর্মশালা করুন, ভোট গ্রহণের সময় ছবি ও ভিডিও ধারণ করার জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভিডিও ক্যামেরা সরবরাহ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম ব্যবহারের সমস্যাগুলোও তুলে ধরে বিস্তারিত বিবরণ দেন মির্জা ফখরুল।
এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এমএইচ/ওএইচ/