ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

তফসিলের আগেই সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
তফসিলের আগেই সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি  জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: শাকিল/বাংলানিউজ

নয়াপল্টন থেকে: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনের সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে এবং খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।                                          ছবি: শাকিলশনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর সভা সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।

জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।  ছবি: শাকিলকারান্তরীণ বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, বারবার বলার পরও চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
 
‘আমরা এভাবে গণতন্ত্রের মাতাকে (খালেদা জিয়া) আর কারাগারে দেখতে চাই না। সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিন অন্যথায় সকল দায় বহন করতে হবে। ’

জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  ছবি: শাকিল বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন স্বপ্নেও বিএনপিকে দেখে, তারেককে স্বপ্ন দেখে, খালেদাকে স্বপ্ন দেখে- ওই বুঝি এলো। আর এই ভয়েই সব সময় সন্ত্রস্ত থাকে তারা।  

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা গুম-খুন হয়েছে, যাদের রক্ত গেছে তাদের রক্ত ছুয়ে শপথ নিতে হবে যে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই, দিতে হবে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে হবে।  

একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার রায় প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, একুশে আগস্ট মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক কোনো রায় এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির জনসভা।  ছবি: শাকিল/বাংলানিউজএর আগে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় শুরু হয় দুপুর ২টায়। এতে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

এর আগে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম, ফজলুর রহমান, মশিউর রহমান, আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, সেলিমা রহমান, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হুসেইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা বক্তব্য দেন।  
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।