বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেওয়ার পর এর কপি রাতেই কারা কর্তৃপক্ষ এবং বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা।
খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনাসহ তার চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি রিট করা হয়। ওই আবেদনের ওপরই বৃহস্পতিবার আদালত আদেশটি দেন।
এর মধ্যে আবার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।
পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যেখানে স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার মত দেয় মেডিকেল বোর্ড। তবে যে হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে সে হাসপাতালের কথা সুপারিশ করা হয়। সে বিবেচনায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কথাই উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
আদালতের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কারাগারের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, কোর্টের নির্দেশনা কারাগারে এসে পৌঁছেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যা যা করা দরকার দ্রুত সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়া ‘আগের মতোই আছেন’ জানিয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হবে।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন রাত ১টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা রাতে আমরা পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আমাদের হাসপাতাল সবসময় প্রস্তুত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/এমএমএস