যথাসময়ে উপযুক্ত কর্মসূচি দেওয়া হবে জানিয়ে মওদুদ আরও বলেছেন, যতই গলাবাজি করুন, এক মিনিটের মধ্যেই ‘স্বৈরাচারী সরকার’ অামাদের দাবি মানতে বাধ্য হবে। অাগামী এক মাসের মধ্যেই অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘চেতনা বাংলাদেশ’ অায়োজিত ‘অাগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ড. কামাল হোসেন ও ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দুই জোট যথাক্রমে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’। এ জোটে প্রথমে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট না থাকলেও পরে একাধিক কর্মসূচিতে তাদের নেতাদের দেখা যায়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এতো নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে হ্যাক করে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়, সেদেশে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট হাতিয়ে নেওয়া অসম্ভব নয়। অার ইভিএম তো সাধারণ একটি মেশিন।
তিনি বলেন, সংবিধানের দোহাই দেন, কিন্তু সংবিধানে তো নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো কথা বলা নেই। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও প্রশাসনসহ সবকিছু অাপনার অধীনে থাকবে, অার নাম দেবেন নির্বাচনকালীন সরকার, এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
সংবিধান জনগণের অাশা-অাকাঙ্ক্ষার প্রতীক উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, সংবিধান কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না। সময় থাকতে বিএনপির দাবি মেনে নিন।
‘চেতনা বাংলাদেশ’র সভাপতি ও দোহার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেনের পরিচালনায় অালোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অাব্দুল মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) অানোয়ারুল অাজিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
টিএম/এইচএ/