মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের ইস্ট খাসি হিল এলাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম শ্রেণী) এ রায় ঘোষণা করবেন।
মামলায় দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয় গত ২৫ জুন।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে অপহৃত হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ১১ মে ভোরে তাকে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তখন তাকে সেখান থেকে নিয়ে মেঘালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য ও নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে (মিমহানস) ভর্তি করা হয়। পরে তার আচরণ স্বাভাবিক মনে হলে সেখান থেকে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভারতে প্রবেশের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ১২ মে তাকে গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশ। ২৫ জুলাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অবশ্য ৫ জুন তিনি যথাসময়ে আদালত বা পুলিশের সামনে উপস্থিত হওয়ার শর্তে জামিন পান।
বিএনপির বিগত সরকারের সময় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা সালাহউদ্দিন আহমেদ শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন তিনি অপহৃত হয়েছেন এবং কিভাবে তিনি ভারতে গেছেন তা জানেন না।
২৯ আগস্ট আদালত সালাহউদ্দিন আহমেদের জবানবন্দি গ্রহণ করে। তার আগে রাষ্ট্রপক্ষের ১০ সাক্ষীরও সাক্ষ্যগ্রহণ করে। প্রায় তিন বছর ধরে বিচারকাজ চলার পর সোমবার এ মামলার রায় হতে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এইচএ/