তবে, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩ নভেম্ববর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা বাতিল, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি’তে আয়োজিত মানববন্ধনে খন্দকার মাহবুব এ হুঁশিয়ারি দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আপনার বোঝা উচিত খালেদা জিয়া একজন অসুস্থ মানুষ, তাকে কিভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে, সেগুলোতে একদিনের মধ্যে জামিন দিতে পারেন আপনি। ’
বিএনপির এ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘খালেদাকে মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বোঝা যাবে খালেদা জিয়া দোষী কি-না। কিন্তু এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে বাংলাদেশের মাটিতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্বাচন করতে পারবেন না। ’
সংসদ বাতিল করে নির্বাচনকালীন সরকারের আধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে এই সরকারের প্রধান করে নির্বাচনে আসুন। তা না করে এমন কিছু করবেন না যাতে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ’
নির্বাচনকালীন সরকারের আকার এবং সংসদে বিএনপির প্রতিনিধি না থাকায় এ সরকারে তাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা না থাকার বিষয়ে মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বিএনপির লোক নেই, তাই বলা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধি থাকবে না। অথচ সংবিধানে আছে নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রতিনিধি নেওয়া যাবে। সুতরাং টেকনোক্র্যাট হিসেবে বিএনপির প্রতিনিধি নেওয়া যায়। ’
বিএসপিপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএফআই/এইচএ/