ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘সরকার বিএনপির সঙ্গে অভিনয় করছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৮
‘সরকার বিএনপির সঙ্গে অভিনয় করছে’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: একদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ করছেন। বলছেন আপনাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তার একটি তালিকা দেন, আমরা শনিবার (০৩ নভেম্বর) একটি তালিকা পাঠিয়েছি। একদিকে চলছে নতুন মামলা ও গ্রেফতার। দেশ কে চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী না অন্য কেউ?। সংলাপের দিন রাতেও খুলনায় দু’টি ‘গায়েবি মামলা’ হয়েছে। তাহলে কি সরকার আমাদের সঙ্গে অভিনয় করছে?

রোববার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। মহানগর বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে যে ভোট ডাকাতি, সন্ত্রাসের চেহারা, ভয়াবহ রূপ দেখেছি আবার সেই রূপকে হাজির করতে চাচ্ছে সরকার। ওই সময় আমরা বলেছিলাম নির্বাচনের ময়দান থেকে যাবো না। আমরা শেষদিন পর্যন্ত তাদের চেহারা দেশ ও বিশ্ববাসীকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। ওই সময়ে ২৫০-৩০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিং এজেন্টদের আটকে রাখা হয়েছে, বাড়ি থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, দাবড়ানো হয়েছে। সেই চেহারা আবারও দেখতে পাচ্ছি।

মঞ্জু বলেন, দেশের প্রধানবিরোধী দল ও জনপ্রিয় দলের প্রধানকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমাদের প্রধান দাবি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, গত মাসে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, গায়েবি মামলা ১৫টি, গ্রেফতার ৫০ জনের মতো, হাজার হাজার কর্মীদের বাড়িতে অভিযান। সেই সময়ে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এমনকি নির্বাচন কমিশনকেও স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম, বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে, প্রি-ইলেকশন ওয়ার্ক করার জন্য বিএনপি অফিসগুলো খুলে দেওয়া, পুলিশিও গোয়েন্দা নজরদারি প্রত্যাহার করা এবং অর্থবহ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তার দাবি জানিয়েছিলাম। এরপর কয়েকটা দিন বন্ধ ছিলো। কিন্তু আবারও গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ভয়ালরূপ, অমানবিক আচরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং একটি নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র। এ প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বাঁচতে চাই।

গত ২৬ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত ৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগের ৪২ জন গ্রেফতার ছিলো তাদের সবাইকে এখনো পর্যন্ত মুক্ত করতে পারেনি। স্থানীয় আদালত থেকে জামিন পাওয়া যায় না, তাই হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়। এজন্য একজন কর্মীকে বিনা অপরাধে গায়েবি মামলায় এক মাস, দেড় মাস অথবা দুই মাস নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সব নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু, শাহজালাল বাবলু, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, শেখ আব্দুর রশিদ, আজিজুল হাসান দুলু, শেখ সাদী, ইকবাল হোসেন খোকন, মাসুদ পারভেজ বাবু, একরামুল হক হেলাল, শামসুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।