শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আ স ম আবদুর রব বলেন, সংলাপে দাবি করেছিলাম, সংসদ বাতিল করেন, আপনি পদত্যাগ করেন।
যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন সেটা কি সংবিধানে ছিল। আজকে বলছেন, তফসিল ঘোষণার পরে আন্দোলন বেআইনি। যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন বেআইনি ছিল না। এসব তালবাহানা করে পার পাবেন না। দাবি মানতে হবে।
জেএসডি’র সভাপতি বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মেরেছেন। আল্লাহর নবীর খুতবার পরিবর্তে মসজিদে সরকারের গুনগান পড়িয়েছেন। এবার আর রক্ষা নেই। জনতা জেগেছে, দেখে যান। পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। এবার ভোটের দিন লড়াই। এ লড়াইয়ে জিততে হবে। তফসিল যদি না পেছান, তবে জান দেব তো দাবি ছাড়বো না।
আপনারা যখন তফসিল ঘোষণার পরে আন্দোলন করেন। তখন বেআইনি হয় না। আমরা করলে বেআইনি হয়ে যায়? কি করবেন জেলে নেবেন। ৬ বছর জেলে ছিলাম, জেল ভয় পাই না। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তফসিল না পেছালে নির্বাচন কমিশনে পদযাত্রা হবে।
জনসভা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এছাড়া গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত-উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানি, নির্বাহী সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এটি চতুর্থ জনসভা। এর আগে ৬ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তার আগে ২৪ অক্টোবর সিলেটে ও ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে জনসভা করেছে ডা. কামাল হোসেনে নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
** জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ফাঁদ ছিন্নভিন্ন করবো: মান্না
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ/ওএইচ/