দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি তালিকা জমা দেয়।
গ্রেফতার হওয়া মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন বাগেরহাট-৪ আসনে বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহিম হোসেন, গাইবান্ধা-২ আসনে দলের গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু, নেত্রকোনা সদর-২ আসনের ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আনোয়ারুল হক রয়েল, ঢাকা মহানগর-১০ আসনের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম রবি ও যশোর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আবুবক্কর আবু।
তালিকার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদেরও গ্রেফতার ও আটকে রাখছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচজনকে আটকের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী একজনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের তালিকা এর আগে দুইবার দলের পক্ষ থেকে ইসিকে দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট মামলার তালিকা দেওয়ার পরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া।
চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে দিনের পর দিন আটক রেখে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। আবার কাউকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটকের পর গুম করে রাখা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশিও চলছে।
এর আগেও তালিকা দেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তফসিলের পর গ্রেফতার-হুমকি বন্ধের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। তাই আবারও ইসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ২ ডিসেম্বর বাছাই, ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহার। আর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস