রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, আমরা মনোনয়নের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া যাবে। কিন্তু এখনও তাদের নির্দেশেই ধরপাকড় চলছে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে থাকতে চায় জানিয়ে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনো নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে পারেনি।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিজয় সুনিশ্চিত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আসন বিন্যাস নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। শিগগরিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না। এই কথাগুলো আমরা বারবার বলছি এবং বলেই যাচ্ছি। নির্বাচনের প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রেখেছি। কারণ আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বা সরকারের কর্মকাণ্ডে এতোটুকুও প্রতীয়মান হয়নি যে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তাদের উৎসাহ আছে। এখনো গ্রেপ্তার চলছে, মামলা চলছে, হয়রানি চলছে।
‘কিছুক্ষণ আগে আমি কোর্ট থেকে এলাম। আমাদের সিনিয়র নেতাদের পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। তারা এখনো জেলে আছে। তারপরও আমরা নির্বাচনের কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করছি। চারদিন ধরে আমাদের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ২০ দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছে। এখন এগুলো চূড়ান্ত করার জন্য সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌঁছবো বলে আশা করছি’, বলেন ফখরুল।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মনোনয়নপত্র আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। তার আগেই কিছু প্রার্থী চূড়ান্ত করবো। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ের মধ্যে বাকিটা চূড়ান্ত করবো। এর মধ্যেও না হলে পরেও আমরা চূড়ান্ত করতে পারবো।
নির্বাচন কমিশন বলছে বিএনপির দাবি অযৌক্তিক। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। আপনারা জানেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার স্টেটমেন্ট দিয়েছেন পুলিশের সামনে। বক্তব্য দিয়েছেন তাদের মিটিংয়ে। এটাই যথেষ্ট। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেকটি দল ও জোট বলছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশন এমন কিছু করেনি যাতে বলতে পারি তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। আমরা যে গায়েবি মামলার তালিকা দিলাম সে সম্পর্কে এখনো তারা কিছু করতে পারেনি। অন্যদিকে যেসব কর্মকর্তাকে বদলি বা সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম তাদের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন কাউকে সরানো হবে না।
এদিকে রোববার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা
এমএইচ/টিএম/জেডএস