সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চেতনা বাংলাদেশের আয়োজিত এ সেমিনারে তিনি বলেন, বিতর্কিতদের নির্বাচনে নেওয়া হচ্ছে না, এটা তো ঠিক না।
অ্যাডভোকেট আলাল বলেন, এই আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। আর এই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। যদি আরও কড়া ভাষায় বলি, তবে এই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এতো গৌরবের, সরকার সে শব্দটি ব্যবহার করে করে এটাকে এখন ‘ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা’ বানিয়ে ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল যে চেতনা, সাম্য, মানবিকতা এবং ন্যায় বিচার- এটাকে তারা চাপা মেরে রেখেছে। এই জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া নির্বাচনে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
ইভিএম ব্যবহার সরকারের কাছে ইসির দালালি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে যে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই মেশিনটি তৈরি করেছেন বুয়েটের অধ্যাপক লুৎফুল কবির। তিনি অল্পকিছুদিন আগে বিবিসি বাংলায় ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। সেখানে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, এই মেশিনটি দিয়ে মেনুপুলেশন করা সম্ভব। বিদেশি মেশিনের মতো এটার সঙ্গে কোনো কাগজের ব্যবস্থা নেই। ভোট দিলে একটা কাগজ বা ফিল্ম যে বেরিয়ে আসবে, সেটা তিনি দিতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন সেটা গ্রহণ করেনি। এটা দিলে ভোটার জানতে পারতো যে ভোটটা দেওয়া হয়েছে এবং কোথায় দেওয়া হয়েছে।
‘ভোট পুনঃগননার একটা ব্যবস্থা এই মেশিনে রাখা যেতো, সেটাও লুৎফুল কবির প্রস্তাব করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে সেটাও গ্রহণ করা হয়নি। অর্থাৎ ইভিএমে যদি চুরি করা হয়, আপনি যদি পুনরায় গণনা করতে চান, সে সুযোগ নেই। এই জিনিসটাকে জোর করে চালানোর জন্য নির্বাচন কমিশন যে গো ধরেছেন, এটা সরকারের দালালি ছাড়া অন্যকিছু নয়। ’
দুপুরের এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চেতনা বাংলাদেশের সভাপতি শামীমা রহিম।
এসময় বিএনপি, যুবদল, নাগরিক আন্দোলন ফোরামসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/টিএ