ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নির্বাচনে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় ২০ দলের

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
নির্বাচনে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় ২০ দলের সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল অলিসহ জোট নেতারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকারের কার্যকলাপের কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এলডিপির সভাপতি ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। 

তিনি বলেন, সরকারি দলের লোকজন বিভিন্ন এজেন্সির নামে প্রতিনিয়ত বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

বর্তমানে নির্বাচনের ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও পরিবেশ নেই। তাই যেভাবে জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে।

রোববার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।  

অলি আহমদ বলেন, আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের যে কথা বলেন, সেটার বাস্তবায়ন চাই। ইতোমধ্যে ২০ দলীয় জোটের ৮০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তা বরদাশত করা হবে না। আমরাও বসে থাকবো না।  

অলি আহমদ বলেন, মনোনয়ন দাখিলের পরে অনেক প্রার্থীকে গ্রেফতার করে জেলে নিক্ষেপ করা হয়েছে। মাঠ খালি করতেই ই আয়োজন করেছে ইসি। আজ অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অনেকের লোন পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তাদেরও বাতিল করা হয়েছে। কেউ কেউ স্থানীয় সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাদেরও বাতিল করা হয়েছে।  

‘বিএনপি মহাসচিব ছয় শতাধিক মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর করেছেন, একটু এদিক সেদিক হতেই পারে। সেটা যাচাই না করে বাতিল করা হয়েছে। ইসির উচিত ছিল, দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেটাও তারা করেনি। ’ 

২০ দলীয় জোটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বসে আছেন হিমালয়ের উপর, আর আমরা বসে আছি পাদদেশে। এটাকে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে না।  

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন।  

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীর প্রতীক), বিজেপির মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপের (একাংশ) সভাপতি শাওন সাদিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুর হোসেন কাসেমী, এনডিপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দিম, জমিয়তের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য শফি উদ্দিন ভূইয়া, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এমএইচ/টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।