গত দুই ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঢাকা-১ আসন, জামালপুর-৪ আসন, বগুড়া-৭ আসন ও মানিকগঞ্জ ২ আসন দলটির সবগুলো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ফলে এই শূন্যতার সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে ওই সকল আসনে বাতিল প্রার্থীরা আপিল আবেদন করলে শুনানি করে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এক্ষেত্রে ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, জামালপুর-৪ আসনের মো: ফরিদুল কবির তালুকদার (শামীম), বগুড়া-৭ আসনের মোরশেদ মিল্টন, মানিকগঞ্জ ২ আসনের মো: আবিদুর রহমান খান প্রার্থিতা ফিরে পান।
মনোনয়নয়পত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রথমদিনে বিএনপির ৬১ প্রার্থীর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৩৯ জন।
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন-বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সরকার মিল্টন ও সরকার বাদল। এদের মধ্যে খালেদা জিয়াকে দুই বছরের অধিক সময় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায়, আর বাদল উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় এবং মোরশেদ মিল্টন পদত্যাগ পত্র করলেও প্রমাণপত্র দেননি বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জামালপুর-৪ আসনে বিএনপির একজন প্রার্থীই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবাহতি পাওয়ার কারণ দেখিয়ে ফরিদুল কবির তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। মঈনুল ইসলাম খানের (শান্ত) দলীয় মনোনয়নে মহাসচিবের স্বাক্ষরের সঙ্গে নমুনা স্বাক্ষরের মিল না থাকার কারণ দেখিয়ে এবং আবদুর রহমান খানের মনোনয়নপত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করার কারণ দেখিয়ে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা-১ আসনে বিএনপির দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলন। এদের মধ্যে খন্দকার আবু আশফাক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পদত্যাগপত্র কার্যকর না হওয়ার কারণে দেখিয়ে এবং ফাহমিদা হোসাইন জুবলির মনোনয়নপত্র যথাযথ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইইউডি/এমএমএস