শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মিলনের শতাধিক সমর্থক নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে জানতে চান, মিলনকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দুপুর পৌনে একটার দিকেও তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান কার্যালয় থেকে বিএনপির ২০৬ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ওই তালিকায় চাঁদপুর-১ আসনে এহসানুল হক মিলনের নাম না থাকায় তার সমর্থকরা রাতেই গুলশান বিএনপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
জানা গেছে, ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেনকে।
মিলনের সমর্থকরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন এলাকায় রাজনীতি করি। কিন্তু মোশারফ হোসেন নামে কাউকে চিনি না। তাকে কিভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো। তাকে যেমন এলাকার মানুষ চেনে না, তেমনি তিনিও এলাকার মানুষ চেনেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর বিএনপির এক নেতা বাংলানিউজকে বলেন, মোশারফ যেমন এলাকায় নতুন, তেমনি এহছানুল হক মিলনও দীর্ঘ সাত বছর এলাকায় ছিলেন না। তার নামে যেমন অনেক মামলা রয়েছে তেমনি এলাকার হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামেও মামলা রয়েছে। তাই বলে পালিয়ে থাকাটা ঠিক নয়। এখন নির্বাচনের সময় এসে তিনি মনোনয়ন চাইছেন। এজন্য হয়তো তাকে দল যোগ্য মনে করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস