শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মহাসড়কের নিমতলা এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শেখ আব্দুল্লাহর সমর্থকরা। ঝাড়ু হাতে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন তারা।
এর আগে শেখেরনগরে শেখ আব্দুল্লাহর বাসভবনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নেতাকর্মীরা দাবি না মানলে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত গণহারে পদত্যাগ করার হুমকি দেন।
সভায় শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির জন্য কাজ করে আসছি। পাশে থাকার জন্য চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি দল যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সার্কুলার ছিলো তাতে তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয় ছিলো। আমি মনে করি, আমি সার্কুলারের সবগুলো বিষয়ে পাস করেছিলাম। তারপরও কেন আমাকে দেওয়া হলো না তা জানা নেই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন পরাজিত হোন। আজ আবার সেই ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হলো। তিনি অসুস্থ, ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না। সেই ব্যক্তিকে কিভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো? গুলশান অফিসে বসে এসব বিষয় বিবেচনা করলে হবে না। তৃণমূলকে মূল্যায়ন না করলে ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে। ’
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিরাজদিখান থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক হায়দার আলী, সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, লতব্দী ইউনিয়ন সভাপতি নূর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজদিখান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার, সিরাজদিখান ছাত্রদলের আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম, বীরতারা ইউনিয়ন সভাপতি সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
জিপি