শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোনয়নবঞ্চিত আ ন ম এহসানুল হক মিলনের সমর্থকরা বিক্ষোভ থেকে কার্যালয়ে হামলার পর থেকেই জটলা বড় হতে থাকে। অবস্থানস্থলে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগানও দিচ্ছেন।
সন্ধ্যার পর মিলনের অনুসারীদের পাশাপাশি গোপালগঞ্জের একটি আসনে মনোনয়নবঞ্চিত সেলিম উদ্দিন নামে এক নেতার সমর্থকদেরও মিছিল করতে দেখা যায়।
পর্যায়ক্রমে শেরপুর-২ অাসনে ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী, চাঁদপুর-২ অাসনে তানভির হুদা, মানিকগঞ্জ-১ অাসনে তোফাজ্জল হোসেন তোজা, গাজীপুর-২ আসনে মঞ্জুর কবির রনি, চুয়াডাঙ্গা-১ অাসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত শেখ অাবদুল্লাহর সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গুলশান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এছাড়া রাজবাড়ীর এক প্রার্থীর সমর্থকরাও মিছিল নিয়ে আসেন কার্যালয়ের সামনে।
অবস্থানকারীরা বলছেন, গুলশানে মনোনয়নবঞ্চিতদের অনুসারীদের জটলা ক্রমেই বড় হতে থাকবে। সিদ্ধান্ত বদল, অর্থাৎ বঞ্চিতদের মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলবে।
তবে খালেদার রাজনৈতিক কার্যালয় কূটনৈতিক এলাকা ঘেঁষে বিধায় উদ্বেগ বাড়ছে জনমনে। উচ্ছৃঙ্খল কর্মী-সমর্থকদের বেপরোয়া অাচরণের কারণে এ উদ্বেগ আরও বাড়তি। যদিও কূটনৈতিক এই এলাকায় গাড়ি প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও পায়ে হেঁটে ও ভিন্নপথে গাড়ি নিয়ে ঢুকছেন মনোনয়নবঞ্চিতদের সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
টিএম/এইচএ/
** বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে ফের তালা দিলো মনোনয়নবঞ্চিতরা