বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরতলীর মুড়লি মোড় এবং সদর উপজেলার হালসায় পৃথক এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ নিয়ে সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দুপুরে সদর উপজেলার হালসা বাজারে পূর্ব নির্ধারিত পথসভায় স্থানীয় যুবলীগ নামধারী জাফরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রথমে লাঠিসোটা নিয়ে প্রচারণায় হামলা চালায়। পরে সন্ত্রাসীদের হাতবোমা হামলায় ৮-১০ জন কর্মী আহত হন। এ সময় সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করে প্রচার মাইক নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে হালসা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়।
এরপর বিকেলে শহরতলীর মুড়লিতে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে হামলায় চার সাংবাদিকসহ ১১ জন আহত হন। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত দাবি করেন, মুড়লিতে যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ট্যারা সুজন এবং টাক ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে এবং অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক জুয়েল মৃধা, ফটোসাংবাদিক এহসান উদ-দ্দৌলা মিথুন, আজাদ, মিলন আহত হন। এছাড়াও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, যুবদল নেতা আব্দুর রউবসহ আরও ১১ নেতাকর্মী আহত হন। হামলাকারীরা একটি টেলিভিশনের ক্যামেরাও ভাঙচুর করে।
সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করে প্রয়াত তরিকুল ইসলামপুত্র বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, মুড়লিতে যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে চাকু নিয়ে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। কিন্তু আমার নেতাকর্মীরা আমাকে নিরাপদে সরিয়ে আনে।
যোগাযোগ করলে ফটোসাংবাদিক ইহসান উদ-দ্দৌলা মিথুন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমাদের লাঠি নিয়ে মারতে তেড়ে আসে। নিজে লাঠির আঘাতে আহত হই এবং আমাদের সঙ্গে থাকা আরও তিন সাংবাদিককে কিল-ঘুষি মারে এবং একটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের ওখানে আটকে রাখার চেষ্টাও করে, যা কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
ইউজি/এইচএ/