শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের অর্ডার আছে পরোয়ানা ছাড়া সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে এখন আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে না। আমাদের এখন প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে অস্ত্রধারী পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে। মনে হয় তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। অথচ তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়। তারা রাষ্ট্রের। কোনো নির্দিষ্ট সরকারের না। এই যে সরকারি ক্ষমতার অপব্যাবহারের মন্দ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো, এটা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে জানি না। আইনি অস্ত্রের এতো বেআইনি প্রয়োগ আগে কোথাও হয়েছে বলে জানা নেই।
দলটির শীর্ষ এ নেতা বলেন, গত কয়েকদিনে দেখলাম, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িতে হামলা হলো, তারই কর্মীদের নামে মামলা হয়েছে। আজকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ড. কামাল হোসেন ও আসম আব্দুর রবের গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মেরে আহত করা হয়েছে। কালকে হয়তো দেখবেন সেই সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরও অজ্ঞাতপরিচয় রাখা হবে ১৫০ জন। যাতে যাকে ইচ্ছে তাকে গ্রেফতার করতে পারে। কোথায় নির্বাচন কমিশন। কোথায় এসব দেখার মানুষ। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম, তারা বললেন, প্রধানমন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীরা আছেন, এমপিরা আছেন, আমরা কী করতে পারি বলেন।
‘এই যে প্রতিদিন হামলা এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে এ জন্য আমরা বলতে পারি যে আমরা নির্বাচন বয়কট করলাম। তারা সেটাই চায়। কারণ তারা জানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাদের সঙ্গে পারবে না। সেজন্য আমাদের সরিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। আমরা বলে দিয়েছি। আমরা নির্ভর করি উপরে আল্লাহর ওপর আর নিচে জনগণের। আমরা সেই চেষ্টা করবো যাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে। ওপরে যে মার্কাই লাগানো থাকুক, সিলটা তারা ঠিকই মারবে ধানের শীষে। ’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, সাংবাদিক নেতা আব্দুল হাই সিকদার, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. নেসারুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এমএইচ/টিএ