শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী এ কথা বলেন।
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে পুলিশ-প্রশাসন একতরফা নির্বাচন করতে সব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
রিজভী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আজ (শনিবার) থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশনের মাত্রা বাড়ানো হবে। এক্ষেত্রে বিজিবি ও র্যাবকে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিস্ট সরবরাহ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদের মনোনীত করা হবে তাদের নির্বাচনের ২/১ দিন আগেই গ্রেফতার শুরু হবে।
নির্বাচনে কারচুপি করার পরিকল্পনা হচ্ছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অপেক্ষাকৃত যুবক বয়সের কর্মীরা সিল মারার দায়িত্বে থাকবেন। পাঁচ জন করে কেন্দ্রভিত্তিক সিল মারা গ্রুপ ঠিক করা হয়েছে। কেবল দলনেতার কাছে মোবাইল থাকবে, ২৯ তারিখ রাতে নির্দিষ্ট নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো কল রিসিভ করবে না। থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআইয়ের নেতৃত্বে থাকবে এবং রাতে ৩০ শতাংশ ভোট সিল মারা হলে তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাবে। রাত ও দিনের বেলা কেন্দ্রের বাইরে পাহারা দেওয়ার জন্য কর্মীদের নিয়ে পৃথক টিম গঠন করে দিয়েছে পুলিশ। সিল মারার সময় বাইরে সর্তক অবস্থায় থাকবে বিভিন্ন বাহিনী। দিনের বেলায় আওয়ামী লীগের অন্য কর্মীরা লাইনে থাকবে, বারবার বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আবার ঠিক করা হবে। ভোট প্রদানের গতি মন্থর করা হবে। পুলিশের মোবাইল টিম বিরোধী দলের সমর্থিত এলাকার লোকদের আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। ডিএমপির উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা অধীনস্থ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে বলেন, ‘যারা সরকারকে বিজয়ী করতে চান, তারা হাত তুলুন’- এভাবে প্রতিশ্রুতি আদায় করা হচ্ছে।
রিজভী প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা করে বলেন, জয় বলেছিলেন- আওয়ামী লীগ ২২০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে, সেটা বাস্তবায়নের জন্যই মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির প্রার্থিতা বাতিল ও প্রার্থীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। জামায়াতের নেতা বলে আরও ২২-২৩টি আসনের প্রার্থিতা বাতিলের পরিকল্পনা চলছে। ইসি কর্তৃক তালিকা চূড়ান্ত করার পর প্রার্থিতা বাতিল চরম প্রতারণামূলক। এর দায় ইসিকেই নিতে হবে। মোট কথা ২৭-২৮ তারিখের মধ্যে এ পদ্ধতিতে বেশ কিছু আসনের জয় তারা নিশ্চিত করতে চায়।
চিত্রনায়ক ফারুক ঋণখেলাপী হয়েও নৌকার প্রার্থী হয়েছেন অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন ও আদালত এক্ষেত্রে নির্বিকার। ফারুক নিজেই বলেছেন- তার ৩৬ কোটি টাকার লোন রিসিডিউলিং আবেদন কেন গ্রহণ করা হয়নি তা তিনি জানেন না। তাহলে তিনি বৈধ প্রার্থী হলেন কিভাবে? নৌকা মার্কার আরেক প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা সরকারি বেতনভুক্ত, অথচ তিনিও বৈধ প্রার্থী। অসংখ্য দণ্ডিত ও ঋণখেলাপী নৌকা মার্কার প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/