রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী এ তালিকা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান দুদুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ২২ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোনো না কোনোভাবে একাত্তর সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছেন।
রিজভীর দাবি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, মুসা বিন শমসের, মির্জা গোলাম কাশেম, এইচ এন আশিকুর রহমান, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মজিবর রহমান হাওলাদার, আবদুল বারেক হাওলাদার, আজিজুল হক, মালেক দাড়িয়া, মোহন মিয়া, মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া, রেজাউল হাওলাদার, বাহাদুর হাজরা, আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার, হাসেম সরদার, আবদুল কাইয়ুম মুন্সি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- যারা যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেয় তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। আওয়ামী সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে বিচার করলেও তাদের দলে থাকা এ রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নীরব। এ ব্যক্তিরাসহ তাদের সন্তান-সন্তুতি এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে নির্বাচন করছেন ‘
বিএনপির নির্বাচনী প্রার্থী মনোনয়নে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভূমিকা রেখেছে বলে অভিযোগ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত কুৎসা, ঘৃণ্য অপপ্রচারের ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত আছে। আইএসআই নাকি বিএনপির মনোনয়নে ভূমিকা রেখেছে। এটি ডাহা মিথ্যাই নয়, নোংরা অপপ্রচার। সরকার আগ্রাসী প্রতিহিংসায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করার জন্য কিছু মিডিয়া ও ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ ধরনের বুদ্ধিজীবীকে লেলিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির বেশ ক’জন প্রার্থীর নির্বাচনের প্রার্থিতা বাতিল প্রসঙ্গে দলের এ মুখপাত্র বলেন, একতরফা নির্বাচন করতেই আওয়ামী লীগ আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করছে।
‘ধানের শীষকে ভোট দেওয়া মানে দুর্নীতি, লুটপাট ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বাংলাদেশে ব্যাংক লুটের কথাতো বললেন না? এটা কে লুট করেছে? সব ব্যাংক লুটপাট করে খালি করেছে কারা? শেয়ারবাজার লুট করেছে কারা? বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই একটি সংস্থা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে- গত ১০ বছরে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এ সরকারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দেশজুড়ে বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মামলা ও হয়রানি হচ্ছে দাবি করে এসব বন্ধের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮/আপডেট ১৮০১ ঘণ্টা
এমএইচ/এসএইচ/এইচএ/