আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মাধ্যমে হামলা, হয়রানির কারণে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এ আবেদন জানানো হয়। তার পক্ষে আবেদনের চিঠি জমা দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইজাজ কবির ও মঞ্জু চৌধুরী।
চিঠিতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী অভিযোগ করে লেখেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সশস্ত্র ক্যাডাররা আমার নির্বাচনী প্রচারে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে। গণসংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
গত ১০ ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশানের নেতৃত্বে বাঞ্চানগর সাকিনের পুরান গোডাউন সড়কের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।
এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর লাহারকান্দি ইউনিয়নে সশস্ত্র হামলা হয়। গণসংযোগেও হামলার চেষ্টা চলে। গত ১২ ডিসেম্বর জকসীন বাজারে, ১৫ ডিসেম্বর মান্দারী বাজারে, ২০ ডিসেম্বর ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসীরা মাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও ব্যাটারি ও মাইকের মেশিন ভাঙচুর করে।
বিভিন্ন হামলায় অর্ধশতাধিক দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন এ্যানী।
এসব কিছু জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এরইমধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশানের নেতৃত্বে তেমুহনীতে গণসংযোগ চলাকালে ফের হামলার শিকার হই। এমতাবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথা জানিয়ে গণসংযোগ চলাকালে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রটেকশন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
৩০ ডিসেম্বর সংসদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস