এদিকে হাসপাতালে আহত বিএনপির নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে জেলা যুবলীগের বিরুদ্ধে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে পৌনে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল নেতা বদরুল আলম শ্যামল, মামুন, সৈকত, বরকত উল্লাহ, জাহিদ, আবদুল খালেকসহ অন্তত ২৫ জন। তাদের সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন জুয়েল, রাসেল, আরিফ, ইউছুফ, সিরাজসহ ছয়জন। তাদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত এ্যানী বলেন, সকালে নির্বাচনী গণসংযোগকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ ও আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায়। হামলায় অন্তত ২৫জন আহত হয়। হাসপাতালে আহতরা গেলে তাদের ঘেরাও করে বলেও অভিযোগ করেন এ্যানী। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের আটকের দাবি জানাই।
অপরদিকে কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, এ্যানী তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশ পরিদর্শক মফিজ ও উপ পরিদর্শক রাজ্জাক আহত হয়।
লর্ক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ্যানীসহ বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এ্যানীকে এক্স-রেসহ কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮/ আপডেট: ১৩৪৬
এসআর/এএটি