মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষে পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি ধানের শীষের স্লোগান দেন।
তখন মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সেই জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন কি পাবেন না। এ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে কি পাবে না। আমরা মুক্ত স্বাধীন হয়ে চলাফেরা করতে পারবো কি পারবো না।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার জনগণের ও রাজনীতির ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে, তাতে এখন গণতন্ত্র মুক্ত করা জরুরি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের অসংখ্য ভাই নিহত হয়েছে। অসংখ্য ভাই গ্রেফতার হয়েছে। অসংখ্য মিথ্যা মামলা হয়েছে ও গুম হয়েছে। আপনাদের এখান থেকেও গুম হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। আমরা মুক্ত দেশ, মুক্ত গণতন্ত্র চাই। দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে চাই। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই।
তিনি এও বলেন, ৩০ ডিসেম্বর আমরা নির্বাচিত হতে পারলে, আমরা যুবক ছেলেদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবো। বেকার ভাতা চালু করবো। মেয়েদের জন্য বিকম বিএ পড়ার জন্য কোনো বেতন দিতে হবে না। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় তৈরি করবো। যেখান থেকে তাদের সমস্যা সমাধান হবে। শ্রমিক ভাইদের জন্য ন্যায্য মজুরির ব্যবস্থা করবো। বিদ্যুৎ, চাল ও কৃষকের সারের দাম কমিয়ে আনবো। কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করবো।
এর আগে তারাব পৌরসভার বালুর মাঠে পথসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, তারাব পৌরসভা বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
টিএ