ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

স্মারকলিপি নিয়ে ইসিতে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
স্মারকলিপি নিয়ে ইসিতে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফ্রন্টবুক্ত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-মহাসচিব ইকবাল সিদ্দিকী।

সকাল থেকেই বিএনপি-গণফোরামসহ ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর নেতারা বলছিলেন, স্মারকলিপি দিতে জোটের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে।

বৈঠক শেষে বিকেলে গিয়ে ২৯৯ আসনে দাঁড়ানো ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নিয়ে ইসিতে স্মারকলিপি দিয়ে আসা হবে। এমনকি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আগের দিনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে চিঠি দেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রার্থীরা ইসিতে যাবেন না। দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে যাবে একটি প্রতিনিধিদল। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে বিধায়।

বৈঠক থেকে বের হয়ে এ ব্যাপারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-মহাসচিব ইকবাল সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশন এলাকায় ১৪৪ ধারা দেওয়ায় প্রার্থীরা স্মারকলিপি  দিতে যাবেন না।  ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসবে।  

সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের দুই শতাধিক প্রার্থীও।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসনে জিততে পারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নিরঙ্কুশ এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য আওয়ামী লীগ অভিনন্দনে সিক্ত হতে থাকলেও ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের জেতানোর জন্য ব্যাপক কারচুপি-জালিয়াতি হয়েছে।

এরপর ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও পরে সন্ধ্যায় তাদের জোটের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কারচুপির প্রতিবাদে বিএনপি ও জোটের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না। তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান জানিয়ে দেন।
 
বিএনপির নির্বাচিত পাঁচ এমপি হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বগুড়া-৬ আসন), মোশারফ হোসেন (বগুড়া-৪), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) ও হারুনুর রশিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)। আর গণফোরামের দুই এমপি হলেন- সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ও মোকাব্বির খান (সিলেট-২)।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ জোটের অন্য কোনো সিনিয়র নেতা এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/

** বৈঠকে বসেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।