বুধবার (১৬ জানুয়ারি) এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে মরহুম আমানুল্লাহ কবীরের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত মরহুম আমানুল্লাহ কবীর বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে যেভাবে নিরলস কাজ করেছেন, সেটি তার সতীর্থ সাংবাদিকরা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
সাংবাদিকতা জগতে তার অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের এ দুঃসময়ে তার মৃত্যু গণতন্ত্রকামী মানুষের হৃদয়ে গভীর বেদনার সৃষ্টি করেছে। তার শুন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি তাকে যেন বেহেস্ত নসীব করেন। ’
বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় মরহুম আমানুল্লাহ কবীরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকাহত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এরআগে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন প্রবীণ এ সাংবাদিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করা আমানুল্লাহ কবীর প্রায় সাড়ে চার দশক সাংবাদিকতা জগতে কাজ করেছেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলা দৈনিক আমার দেশ ও ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের (বর্তমানে বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শুরুর দিকের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব স্থানীয় ছিলেন প্রবীণ এ সাংবাদিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/