ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা নির্বাচনের সঙ্গে ফলাফলও প্রত্যাখ্যান করেছি। তখনই আমরা বলেছিলাম, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। আজকে আমরা আবার তারই পুনরাবৃত্তি করছি। 

তিনি বলেন, আমরা বলতে বলতে চাই—অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। সেখানে জনগণ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের রায় দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসার প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে একটা সংসদের অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। এই সংসদ জনগণের প্রতিনিত্ব করে না। গত ৩০ ডিসেম্বর একটি ভোট ডাকাতির ভুয়া নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী সম্পূর্ণ ভোট ডাকাতির মধ্যে দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করে দখলদারি সংসদ ও দখলদারি সরকার বসিয়েছে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনের পূর্বে থেকেই জনগণ যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একইভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আজকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দেশের জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে গণতন্ত্রকে ধংস করে দিয়ে এই রাষ্ট্রকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছে। ১৯৭৫ সালে তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধংস করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। ঠিক একই কায়দায় আজকে তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদলীয় দখলদারিত্বের সংসদ গঠন করেছে।

খালেদা জিয়াসহ যাদের মিথ্যা মামলায় আটক রাখা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য, ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার জন্য—ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংসদকে বাতিল করে একটি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সরকার গঠনের আহবান জানাচ্ছি। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশারফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, মুতাজুল করিম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, আকরামুল হাসান, বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ।

মানববন্ধন পরিচালনা করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

বুধবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন শুরু হয়। ঠিক ১২টার সময় মির্জা ফখরুল তার বক্তৃতা শেষ করেন। বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচির চারপাশ ঘিরে রাখেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।