ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘নেত্রীকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে নামতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
‘নেত্রীকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে নামতে হবে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও অন্যরা

ঢাকা: আইনি প্রক্রিয়ায় ‘বেআইনি’ সরকারের হাত থেকে দেশনেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, একটাই পথ, তা হলো শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তোলা। সেই আন্দোলনের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে নামতে হবে।

শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার কারাভোগের এক বছর উপলক্ষে তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, এই সরকারের আমলে আসামি হওয়ার জন্য কোনো অপরাধ করতে হয় না।

আপনি কোনো অপরাধ না করলেও আসামি হয়ে যাবেন। কোনো অপরাধ না করলেও আদালতে আপনার শাস্তি হতে পারে। খালেদা জিয়া তার প্রমাণ। কাজেই আমরা যারা আছি কেউ নিরাপদ না।

তিনি বলেন, এই সরকার অলরেডি নির্দেশ দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তা দ্রুত পরিচালনা করে শাস্তি দিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তিই শুধু নয়, যদি নিজেরা বাঁচতে চাই, জেল-জুলুম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চাই, তাহলেও আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

‘আত্মরক্ষা, দেশরক্ষা, গণতন্ত্ররক্ষার আন্দোলন, দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন আজ একাকার হয়ে গেছে। তাই সে আন্দোলন নিশ্চয়ই সফল হবে। সেই সফল আন্দোলনে আপনারা নেতৃত্ব দেবেন। সে বিশ্বাস আমার আছে। লড়াইয়ে একসঙ্গে থাকবো, একসঙ্গে লড়বো, প্রয়োজনে একসঙ্গে মরবো’।

আমরা আজ সবাই লজ্জিত, আমরা সবাই এক ধরনের ব্যর্থতার জ্বালা নিয়ে সভায় এসেছি উল্লেখ করে বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, তিনি আজ এক বছর হলো কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়েও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আরও জোরদার আন্দোলন তৈরি করে তাকে মুক্ত করতে হবে। কারণ তিনি আমাদের দিকে চেয়ে আছেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার আইয়ুব খান দশ বছর পূর্তিতে উন্নয়নের দশক পালন করেছিল। তার কিছুদিন পরই ৬৯’র এর গণ অভ্যুত্থানে তার পতন হয়েছে। স্বৈরাচারী এরশাদও দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছেন। আমরা অনেক আন্দোলন করলেও তিনি দশ বছর ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৯০ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে তারও পতন হয়েছে। আজকে যিনি ক্ষমতায় আছেন তাদের এই ক্ষমতায় থাকাই অবৈধ, কারণ জনগণ ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়নি।

প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, আব্দুল মান্নান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বেচ্ছাসবেক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, মহিলা দলের যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।

সমাবেশ পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

বিকেল ৩টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়ে সোয়া ৫টায় সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ সভা শেষ হয়। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।