শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ গণশুনানি হবে। গণশুনানিতে ধানের শীষের প্রার্থীদের বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে যারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাইরেও যেসব দল গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেসব দলকে গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, ১৮টি দলের নেতাদের গণশুনানির জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনিসহ (মিন্টু) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতরের অপর দুই সদস্য আজমেরী বেগম ছন্দা ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান মিলে ১৮টি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি বিতরণ করেছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই আমন্ত্রণপত্র যাদের দেওয়া হয়েছে তারা হলেন-বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মবিনুল হায়দার চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
একটি সূত্র জানায়, চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকেও গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে জামায়াতের যে ২৫ জন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন তাদের বিষয়ে কিছু বলছেন না এই জোটের নেতারা। ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন সেহেতু তারাও গণশুনানিতে উপস্থিত হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল হালিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীরা থাকবেন কি না সেটা এখনই বলতে পারছি না। যদি সেখানে আমাদের প্রার্থীরা উপস্থিত হন সেটাতো দেখতেই পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এমএইচ/এসআই