শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কবি আল মাহমুদের স্মরণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এখন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিমের মতো বলে দিলেই পারে আমরা একদলীয় শাসন কায়েম করেছি। আমি একা যা বলবো, সেভাবেই দেশ চলবে, সেটাই আইন।
দলীয় নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের ওপর চেপে বসা জগদ্দল পাথর সরাতে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করি, সেখানে জনগণেরই বিজয় হবে।
দেশ একটি কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দুঃসময় পার করছি। কবি আল মাহমুদকে স্মরণ করে আমৃত্য লড়াই আর সংগ্রাম করতে পারলে বিজয় আমাদের নিশ্চিত।
কবি আল মাহমুদ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সমাজে যুগে যুগে এমন কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ জন্মায় যারা জাতিকে পথ দেখায়, মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসে। আল মাহমুদ তেমনি একজন ক্ষণজন্মা বীর পুরুষ ছিলেন। জাতির পরিবর্তনে যুগের পরিবর্তনে বিরাট অবদান রেখেছেন আল মাহমুদ।
তিনি আজীবন অন্যায়, অসুন্দর অবিচারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাজাসের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ সৃষ্টি করা। বিদ্রোদের দ্রোহ সৃষ্টি করা। আর এই চেতনাবোধ যদি সবার মধ্যে তৈরি হয় তাহলে বিজয়ী আমরা হবোই। কেউ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।
নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে, সত্য কথা বলা। অথচ কবি আল মাহমুদ সব সময়ই সত্য কথাটি অকপটে বলে গেছেন। তার বক্তব্য ও পথ নির্র্দেশনা আমরা হয়তো পুরোপুরি পালন করতে পারবো না, তবুও তার দেখানো পথকে অনুস্মরণ করার প্রচেষ্টা আমাদের মধ্যে থাকবে এটাই আমাদের চাওয়া।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট গীতিকার ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কবি আবদুল হাই শিকদার, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক নেতা হেলাল খান, জাসাস নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এমএইচ/এএটি