বুধবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে নিঃর্শত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানসহ সাবেক ছাত্র নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত সঠিকভাবেই অঙ্গ সংগঠনগুলোকে পুনর্গঠিত করতে জেলাগুলোকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে দল নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, বিএনপি সেই দল, যে দলের রাজনীতি হচ্ছে দেশের জনগণের জন্য। তাই এই জনগণের শক্তিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। যা আমরা অতীতেও লাগিয়েছি।
খালেদা জিয়া মুক্ত হলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গ রুখে দেওয়ার সামর্থ্য এই সরকারের থাকবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, তাই তার সুচিকিৎসা ব্যবস্থা এবং মুক্তি দিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশ সংকটে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংকট শুধু বিএনপির সংকট নয়। এই সংকট জাতির, রাষ্ট্রের। কারণ এই রাষ্ট্র থেকে গণতন্ত্রকে নির্মূল করতে সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছে সরকার। বিরাজনীতিকরণের জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করেছে, বাংলাদেশ থেকে রাজনীতিকে চিরতরে নির্মূল করে দেওয়ার অংশ হিসেবে বিএনপিকে নির্মূলের চেষ্টা করছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জাগপার যুগ্ম-মহাসচিব আসাদুর রহমান আসাদ, ডিএল এর মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ