মন্ত্রী সোমবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সরকারের একাধিক মন্ত্রী সম্প্রতি বলেন, যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আবেদন করা হলে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলন, প্যারোলে মুক্তি জোর করে দেওয়া যায় না, প্যারোলের জন্য আবেদন করতে হয়, প্যারোল চাইতে হয়। সরকার জোর করে কাউকে প্যারোল দিতে পারে না।
এর আগে এদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী বলেন, মন্ত্রীদের কথা শুনে মনে হচ্ছে সরকার খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমরা দেশনেত্রীর প্যারোলে মুক্তি চাই না, নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাইবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, তিনি তো এই মামলায় জামিন পাওয়ার যোগ্য। তাহলে প্যারোলের প্রশ্ন আসছে কেন? আমরা সরকারকে বলবো দেশনেত্রীর জামিনে যেন বাধা না দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বিএনপির আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি পাওয়ায় বিষয়টি ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়’। খালেদা জিয়া প্যারোলে যাবেন কি-না এবং সরকার প্যারোলে দেবেন কি-না, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা আইনজীবী হিসেবে বলতে পারি চিকিৎসার জন্য প্যারোলে যায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবাস করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/