সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে-তে যুক্ত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে উপস্থিত স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সারাদেশে সম্প্রতি বৃদ্ধি পাওয়া নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেবে বিএনপি। দু’একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, সংসদে শপথ না নেওয়ার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মতামত নিয়ে তারেক রহমান পুনরায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দল থেকে নির্বাচিত কেউ শপথ নেবে না। যেহেতু ৩০ এপ্রিল তাদের শপথ নেওয়ার শেষ সময় সেজন্য চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন নির্বাচিত ছয় এমপিকে গুলশান কার্যালয়ে ডেকে দলের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কেউ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দলীয় ফোরামে এ পর্যন্ত যতগুলো বৈঠক হয়েছে সব বৈঠকেই শপথ না নেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত ছিলেন। সোমবারের বৈঠকেও সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এছাড়া দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলের মুক্তির বিষয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় দলের নেতাদের কাছে মায়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যের নিয়মতি খোঁজ নিতেও নেতাদের পরামর্শ দেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইকে প্রাধান্য দেন তিনি। এজন্য দলীয় আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করার নির্দেশনা দেন। প্যারোলের পরিবর্তে জামিনে তাকে কিভাবে মুক্ত করা যায় সেজন্য কাজ করতে বলেন।
দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, রাতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। তবে বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস