ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

বিএনপি

৩ নেতাকে শো’কজ-অব্যাহতি, বগুড়া বিএনপি অফিসে তালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
৩ নেতাকে শো’কজ-অব্যাহতি, বগুড়া বিএনপি অফিসে তালা বিক্ষোভ। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামকে শোক’জ ও অপর দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে তাদের অনুসারীরা বিক্ষোভ করেছেন। 

এসময় তারা দলের জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে জেলায় অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলুর নেতৃত্বে বগুড়া শহরের নবাববাড়ী রোডের দলীয় জেলা কার্যালয়ে তালা মারা হয়। এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করা হয়।

সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলু বলেন, বিএনপির দুই ত্যাগী ও নির্যাতিত জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পরিমল কুমার দাস ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ্ মেহেদী হাসান হিমুকে ষড়যন্ত্র করে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ উল্লেখ করে বলেন, সংস্কারপন্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের ইন্ধনেই ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কিন্তু দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা কখনোই এ ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনে দলটির জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের ঢাকার নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়। দুপুরে শুরু হওয়া ওই সভায় বগুড়ায় বিএনপির নব-নির্বাচিত ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারাও উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।

সূত্র জানায়, সভায় ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি অনুমোদন পাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বগুড়া জেলা বিএনপিতে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক হবেন না- এমন নেতাদেরকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

মূলত আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক করা নিয়েই ওই সভায় দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। জেলার কয়েকজন নেতা ও সাবেক একজন সংসদ সদস্য ওই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই জেলা বিএনপির সভাপতিকে শোক’জ ও অপর দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে সূত্রটি জানায়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঢাকা থেকে বগুড়ায় ফিরছি। আমাকে শোক’জ করা সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। দলীয় নেতাকর্মীরা বগুড়ায় কি করছেন সেটা এই মুহুর্তে আমার জানা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এমবিএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।