সোমবার (০১ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ওই সমাবেশ ডেকেছেন অলি আহমেদ। ওই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে টেলিফোনে দাওয়াত দিয়েছেন অলি আহমেদ। মির্জা ফখরুল নিজে ওই সমাবেশে যোগ না দিলেও তিনি অলি আহমদকে বলেছেন চট্টগ্রামের স্থানীয় বিএনপি নেতারা ওই সমাবেশে যোগ দেবেন।
এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদের পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ঢাকার বাইরে এই প্রথম বড় ধরনের সমাবেশের ডাক দিয়েছেন অলি আহমেদ।
তিনি বলেন, নবগঠিত মুক্তিমঞ্চের ব্যানারে ডাকা ওই সমাবেশে ২০ দলীয় জোটের ৬টি দল ও এর বাইরেও কয়েকটি দলের নেতারা যোগ দেবেন।
সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। এছাড়া জাগপার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় দল, ন্যাশনাল মুভমেন্টসহ কয়েকটি দলের নেতারা। সমাবেশে চট্টগ্রামের স্থানীয় জামায়াত নেতারাও যোগ দেবেন।
জানা গেছে, কর্নেল অলি আহমদ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদের পুনঃনির্বাচনের দাবিতে গঠিত মুক্তি মঞ্চের বিষয়টি জানার পর লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রামের সমাবেশের বিষয়েও তিনি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদের পুনঃনির্বাচন দাবিসহ ১৮ দফা দাবিতে ‘জাতীয় মুক্তিমঞ্চ’ গঠন করেন কর্নেল অলি আহমেদ। ওই দিন মঞ্চে জামায়াতের কোনো নেতা না থাকলেও অলি আহমেদ বলেন, তার এই মঞ্চে জামায়াতের সমর্থন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এএটি