শুক্রবার (০৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘আজ দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচিত না, তাই তারা দেশে মেগাপ্রকল্প করছে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে। জনগণের জন্য তারা ভাবছে না। এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের পকেট কাটার মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে শাসকগোষ্ঠী’।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। অথচ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। যে নেত্রী সারাটা জীবন দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন, আজ সেই নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলায় সম্পূর্ণ অনৈতিক, অমানবিক এবং বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে’।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদে সভাপতিত্বে আয়োজিত অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেড এম জাহিদ, ড্যাবের আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএফইউজের একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুর, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জলাই ০৫, ২০১৯
ইএআর/জেডএস