মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মহানগরের কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি বলেন, গোটা দেশ ও জাতি মহাসঙ্কটে রয়েছে।
সমাবেশ আয়োজনে খুলনা সিটি করপোরেশনের লিখিত অনুমতি এবং পুলিশের মৌখিক অনুমিত মিলেছে জানিয়ে মঞ্জু বলেন, বিএনপি একটি নিবন্ধিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই পালন করতে চাই এবং সে জন্য তিনি পুলিশসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সারাদেশের বিভাগীয় সদরগুলোতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এরই মধ্যে বরিশাল ও চট্টগ্রামে জনতার ঢল নেমেছিল। শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচিতে উপস্থিতি দেখে জনগণের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। ইনশাল্লাহ খুলনার তৃতীয় সমাবেশও জনতার সমুদ্রে পরিণত হবে।
দেশে সীমিত গণতন্ত্র, সীমিত কথা বলার অধিকার, সীমিত প্রচারণার যুগ চলছে। আমরা প্রচারণার জন্য মাইক ব্যবহারের অনুমতি চাইলেও প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি। তবে এ কর্মসূচিকে ঘিরে দলের সব পর্যাযের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। উজ্জীবিত কর্মীরা কর্মসূচি সফল করতে রাতদিন প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। খুলনা মহানগর, জেলা এবং বিভাগের ৯ জেলায় দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা, ঘরোয়া বৈঠক, গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। লক্ষাধিক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে। পোস্টার টানানো হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। কর্মসূচি সফল করতে গঠিত ১২ টি উপ-কমিটি তাদের করণীয় নির্ধারণ করে কাজ করে চলেছেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের ডুবে যাচ্ছে দেশ। মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির সরকার দায়িত্ব পালনে নির্বিকার নিশ্চল। হাইকোর্টের আদেশে দেশ পরিচালনা হচ্ছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে মশা মারো, হাইকার্টে বলছে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করো, হাইকোর্ট বলছে সড়ক মেরামত করো, হাইকোর্ট হুকুম দিচ্ছে পিটিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধ করো। বিচারহীনতার সংস্কৃতি কারণে সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয় সৃষ্টি হয়েছে। ’
মঞ্জু জানান, বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির ৫ জন সদস্য, নির্বাহী কমিটির শীর্ষ নেতা এবং অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায়্যমূল্য পায়নি। নারী ও শিশু নির্যাতন ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। শেয়ার বাজার, ব্যাংক বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা দমন পীড়নের শিকার। পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বারবার রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হয়নি। বিভাগীয় সমাবেশে এসব বিষয়ে কথা বলবেন নেতারা।
মিট দ্য প্রেস আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, নগর নেতা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শাহজালাল বাবলু, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শফিকুল আলম তুহিন, এহতেশামুল হক শাওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/