শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে কতবড় জলজ্যান্ত মিথ্যা বলার দল তার একটি নমুনা হলো, ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘একদলীয় শাসন জারি রাখতে গিয়ে সরকার সারাদেশে রক্ত ঝরাচ্ছে। পাঁচটি কারণে এখন সমাজে অরাজকতা চলছে- গণতন্ত্রহীনতা, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, ন্যায়বিচার না পাওয়া, সরকারি দলের নেতাকর্মীদের অনাচারে লিপ্ত হওয়া এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা। দেশে নৈরাজ্যের বিভিষিকা মানুষকে ভয়ের রাজ্যে ঠেলে দিয়েছে। দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতিকেও অন্য দেশে শরণার্থী হতে হচ্ছে’।
খালেদা জিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘তার জীবন আজ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার রোষানলে বিপন্ন। অবিলম্বে নয়, আজই খালেদা জিয়াকে নিশর্ত মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটছে। তিনি যেখানে চিকিৎসা নিতে চান সেখানে তাকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিন। অন্যথায় কোনো ধরনের অঘটন ঘটলে তার জন্য সরকারকেই সম্পূর্ণ দায়ী থাকতে হবে’।
রিজভী বলেন, ‘মরণঘাতী ডেঙ্গু মহামারি আকারে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অথচ স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে-সারাদেশে কমপক্ষে ৯ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ মশাবাহিত রোগে অসুস্থ হয়েছে। সরকার ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ধামাচাপা দিতে সরকারিযন্ত্রকে ব্যবহার করছে যথেচ্ছভাবে। রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীর ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ন্যূনতম লজ্জা-শরম থাকলে এই ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-মেয়ররা পদত্যাগ করতেন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস