মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দুই পদে মোট ৭৬টি ফরম জমা পড়েছে। প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তিনতলায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে ফরমসহ কাগজপত্র জমা দেন।
গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট সভাপতি পদে ৪২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৭০ জন মনোনয়ন ইচ্ছুক প্রার্থী ফরম কিনেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন নারী প্রার্থী ফরম কিনে ছিলেন। তাদের মধ্যে দু’জন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের নাদিয়া পাঠান পাপন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ডালিয়া রহমান সংগৃহীত মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই দুই পদের নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে যাতে সারাদেশের ছাত্র দলের ১১৬টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে প্রার্থীর সঙ্গে আসা কর্মী-সমর্থক শিক্ষার্ধীদের ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’ স্লোগানে মুখর ছিল নয়াপল্টন।
মনোনয়নপত্র জমার বিষয়টি জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক দপ্তত সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি বাংলানিউজকে বলেন, সর্বমোট ৭৬টি ফরম জমা পড়েছে। বিক্রি হয়েছিল ১১০টি। বুধবার ২১ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচদিন জমা করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি।
তিনি জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের প্রচারণা ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।
আগামী ৪ জুলাই প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, তালিকার ওপর আপত্তি ও নিষ্পত্তি ৫ ও ৬ জুলাই এবং চূড়ান্ত তালিকা ৭ জুলাই প্রকাশ করা হবে। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা আগামী ১৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন।
এই নির্বাচন সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য সাবেক ছাত্রদল নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি ও শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়।
সভাপতি পদে জমা দিয়েছেন: আজিম উদ্দিন মেরাজ, মো. ইলিয়াস, হাফিজুর রহমান, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাজিদ হাসান বাবু, আল মেহেদি তালুকদার, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, এবিএম মাহমুদ আলম, মো. আসাদুল আলম টিটু, এম আরজ আলী শান্ত, মো. সুরুজ মণ্ডল, মো. আবদুল মাজেদ, মাইনুল ইসলাম, মো. ফজলুর রহমান, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, মুহাম্মদ ফজলুল হক নিরব, আরাফাত বিল্লাহ খান, এসএম আল আমিন, মো. জুয়েল মৃধা, আবদুল হান্নান, মো. শামীম হোসেন, মো. মামুন খান, এসএএম আমিরুল ইসলাম, সুলায়মান হোসাইন ও আল আমিন কাউছার।
সাধারণ সম্পাদক পদে: রিয়াজ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, মো. ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল হাওলাদার, আবদুল মান্নান, নাদিয়া পাঠান পাপন, এবিএম বাকির জুয়েল, মিজানুর রহমান শরীফ, মো. ওমর ফারুক, মো. হাসান (তানজিল হাসান), মো. আলাউদ্দিন খান, রাশেদ ইকবাল খান, আমিনুর রহমান, ইকবাল হাসান শ্যামল, ইমদাদুল হক মজুমদার, মো. নাইম হাসান, কেএম সাখাওয়াত হোসেন, শাহনেওয়াজ, এএএম ইয়াহইয়া, ডালিয়া রহমান, সোহেল রানা, মোহাম্মদ কারীমুল হাই নাঈম, মো. মহিনউদ্দীন রাজু, আরিফুল হক, মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান রিংকু, মো. আবুল বাশার, মো. মিজানুর রহমান সজীব, মো. জুলহাস উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, সাদিকুর রহমান সাদিক, আবদুল মোমেন মিয়া, কাজী মাজাহারুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক সোহেল, শেখ মো. মশিউর, মো. জামিল হোসেন, শেখ আবু তাহের, মো. তবিবুর রহমান সাগর, মাজেদুল ইসলাম, মাহমুদুল আলম শাহিন, মো. জোবায়ের আল মাহমুদ রিজভী, নাজমুল হক হাবীব, মো. জহিরুল ইসলাম (দিপু পাটোয়ারি), আনিসুর রহমান সুমন, এমএম বাবুল আক্তার শান্ত ও মুন্সি আনিসুর রহমান।
প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার ক্ষেত্রে: ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের অবশ্যই ২০০০ সালের পরে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পাশাপাশি অবশ্যই তাদের অবিবাহিত হতে হবে।
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে, এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই প্রার্থীদের দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে এবং পাসের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। প্রমাণের জন্য সব সার্টিফিকেটের মূল কপি প্রার্থীদের নিয়ে আসতে হবে।
সর্বশেষ ছাত্রদলের কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আকরামুল হাসানকে নির্বাচিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এমএইচ/এএটি