ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

বিএনপি

সেই আওয়ামী লীগ এখন নেই: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
সেই আওয়ামী লীগ এখন নেই: ফখরুল

ঢাকা: স্বাধীনতাযুদ্ধের আগে যে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সংগ্রামে লড়াই করেছে সেই আ’লীগ এখন নেই। এই আওয়ামী লীগ সেই আ’লীগ যেখানে নিজেদের কোনো কিছুই নেই। তাদের হাত আজকে মানুষের রক্তে রঞ্জিত। তাদের পরাজিত করতে আমাদের সাহস, শক্তি, মনোবল দরকার।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের ‘ঘোষণা’ করেছিলেন।

তখন বেশিরভাগ নেতা ছিল না, তারা পালিয়ে গিয়েছিল। তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাযুদ্ধ ঘোষণা করে গোটা জাতিকে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছিল। আজকে সেই কথাগুলো মনে করে আমরা যদি জাতিকে মুক্ত করতে চাই, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, তাহলে অবশ্যই সংগ্রামের দিকে যেতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ভারসাম্যহীন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তিনি বলেছেন ‘রোহিঙ্গাদের সমস্যা নাকি আমরা তৈরি করেছি’। আসলে ওনারা পারছেন না, দে আর ফেইলড। আমরা পেরেছিলাম। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের সময় রোহিঙ্গারা এসেছিল। তখন তিনি অতি অল্পসময়ের মধ্যে মিয়ানমারকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন। কেন পেরেছিলেন, সেই শক্তি তার ছিল। তিনি কক্সবাজারে একটা ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করে ফেলেছিলেন। মিয়ানমারকে বলেছিলেন- ‘আইদার ইউ গেট ব্যাক, অর ইউ ফেস’। খালেদা জিয়ার সময় ১৯৯৪ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা এসেছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ফেরত নেবে না অন্য ব্যবস্থা নেব। তারা ফিরিয়ে নিয়েছিল।

আজকে মিয়ানমারকে এরা একবার বকাবকিও করেনি। কোথাও একটা বিবৃতিও নাই। যেখানে বলা হয়েছে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের হত্যা নির্যাতন করছে। বার বার তাদের বলছে নিয়ে যাও, নিয়ে যাও। কিন্তু তারা নিচ্ছে না। মিয়ানমার যা বলছে এরা তাই করছে। ওদের খপ্পরে পড়ে গেছে। আজকে এমন কূটনৈতিক অবস্থা যে একটা দেশও বাংলাদেশের পক্ষে নেই। চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়া সব মিয়ানমারের পক্ষে।  

দুই বছর চলে গেলো কী করলেন?- এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে নাকি বন্ধুত্ব সবচেয়ে সুউচ্চ।

জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি আব্দুল হাই সিকদার, জাসাস সাধারণ সম্পাদক নায়ক হেলাল খান, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক নাসিম আহমেদ, রেজাবুদ্দৌলা, জাসাস মহানগর সভাপতি সানাউল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।