আপিল কমিটির পক্ষে দুই নেতা শামসু্জ্জামান দুদু ও ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৯-এ যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সংগঠনের শর্তাবলী পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যাচাই-বাছাই কমিটি তাদের বাদ দিয়েছেন।
পরবর্তীতে আপিল কমিটির কাছে যারা আবেদন করেছিলেন, সেখানেও তাদের আপিল মঞ্জুর না হওয়ায় এবং আপিল কমিটির কাছে যারা পরবর্তীতে রিভিউ আবেদন করেছিলেন-একজন প্রার্থী ব্যতিরেকে সবার রিভিউ আবেদন পর্যালোচনায় তা গ্রহণযোগ্য হয়নি।
ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ষষ্ঠ কাউন্সিলের পুন:তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ১৩ আগস্ট। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটিতে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয় গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট। দুই দিনে ১১০জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও ১৯ ও ২০ আগস্ট জমা পড়ে ৭৬টি ফরম।
জমাকৃত ফরম যাচাই-বাছাই করা হয় ২২ থেকে ২৬ আগস্ট। যাচাই-বাছাই শেষে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৭ আগস্ট। বাছাইতে ২৯ জন বাদ পড়েন ও দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন নেন। যারা বাদ পড়েন তাদের মধ্যে দুই পদে ১৫ জন প্রার্থী গত ২৮ আগস্ট আপিল কমিটি বরাবরে আপিল করেন। ২৯ ও ৩০ আগস্ট আপিল কমিটি আপিল নিষ্পত্তি করেন। তাদের আপিল নিষ্পত্তির পর দেখা যায় সভাপতি যে সাত জন আপিল করেছিলেন তাদের মধ্যে কেউ প্রার্থিতা ফিরে পাননি। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে যে আটজন আপিল করেছিলেন তাদের মধ্যে ৫জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে আপিল কমিটি।
এদিকে সভাপতি পদে মামুন খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুয়েল হাওলাদারের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই কমিটি বৈধ বলে ঘোষণা করলেও আপিল কমিটি তাদের দু’জনের মনোনয়ন বাতিল করে দেন। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাদের মনোনয়ন কেন বাতিল করা হয়েছে সে বিষয়ে আপিল কমিটি কোনো কিছু জানায়নি। তবে একদিন পর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জুয়েল হাওলাদারের প্রার্থিতা বহাল করলেও বাদ থেকে গেছেন সভাপতি প্রার্থী মামুন খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এমএইচ/জেআইএম