ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

বিএনপি

ভোট চুরির প্রতিযোগিতায় আ’লীগ চ্যাম্পিয়ন হতো: ফারুক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯
ভোট চুরির প্রতিযোগিতায় আ’লীগ চ্যাম্পিয়ন হতো: ফারুক

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যা ও ভোট চুরিতে প্রতিযোগিতা হলে বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতো।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

২০০৮ সাল থেকে দেশে অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ২০০৮ সালের পর দেশে কোনো নির্বাচন সঠিক হয়েছে? আওয়ামী লীগ ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়লাভ করেছে মইন ইউ আহমেদের কারণে, আরেক নির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায়। এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করেছে যে নির্বাচনের কথা শুনলে সাংবাদিকরা হাসেন, বিশ্ববাসী হাসেন, দেশের ভোটাররা হাসেন। আগের দিন রাতে ভোট হয়, রেজাল্ট হয় পরের দিন সন্ধ্যেবেলা।

তিনি বলেন, এই সরকার তো জনগণের কথা কোনো কিছুই শুনবে না, কারণ তারা তো একবারও ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি, কেন তারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে? সরকারের ভয় তো একটাই। খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আন্দোলনের ডাক দিলে সেই আন্দোলন প্রতিহত করার শক্তি আওয়ামী লীগ কিংবা বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের নেই। সে কারণে তাদের ভয় খালেদা জিয়া, সে কারণে তাদের ভয় তারেক রহমান।

‘আজকে স্পষ্ট ভাষায় এই সরকারকে বলতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন, তার কারণ ছিল একটাই। যদি পঁচাত্তরে আপনারা এই সংসদে বাকশাল কায়েম না করতেন, এই সংসদে আপনারা যদি চিৎকার দিয়ে না বলতেন কোথায় সিরাজ সিকদার? বাংলাদেশের সব পত্রিকা যদি বন্ধ না করতেন, তাহলে বাংলাদেশে আজকে এই সমস্ত ঘটনা ঘটতো না। যারা এই সমস্ত ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা আপনাদেরই লোক। ’

জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূলনায়ক বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ফারুক বলেন, আমি এ প্রসঙ্গে বেশি কথা বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলি, মিথ্যা-বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। আপনারা সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এখনো সময় আছে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। আন্দোলন আমরা এখনো শুরু করিনি। শুধু আন্দোলন শুরুর একটা বার্তা ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আপনারা দেখেছেন। এই বার্তা যদি আপনারা আওয়ামী লীগ বুঝতে না পারেন, এই জমায়েত এই জনস্রোত যদি আপনারা বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগরের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।