ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

কাদেরের কথায় বড় দুর্নীতির ‘স্বীকারোক্তি’ দেখছেন মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
কাদেরের কথায় বড় দুর্নীতির ‘স্বীকারোক্তি’ দেখছেন মোশাররফ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি কোনো ক্ষেত্রে এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। অর্থনৈতিক, আইনের শাসন, বিভিন্ন প্রকল্প- কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি থাকতো তাহলে বালিশ-পর্দার মতো দুর্নীতি হতে পারে না। আর এই দুর্নীতির পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) নিজে বলেছেন, বালিশ–পর্দা কেনায় দুর্নীতি ছিঁচকে কাজ। এ কথার মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেছেন, এর থেকে বড় বড় দুর্নীতিও সরকার করছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. খন্দকার মোশাররফ একথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজকে বাংলাদেশ থেকে মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে।

সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভয় পেয়ে গেছে। তাই তারা টাকা বিদেশে পাচার করে নিচ্ছে। বিদেশে বাড়ি কিনছে, বেগমপাড়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম হচ্ছে, সুইস ব্যাংকে টাকা বাড়ছে। অতএব এর থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা আইনিভাবে লড়াই করছি। স্বাভাবিকভাবে এসব মামলায় সাত দিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই তার মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।  

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে অর্থনীতিতে বিধ্বস্ত অবস্থা, ব্যাংকগুলো লুটপাট হয়ে গেছে, অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। সরকারের দেশ চালানোর টাকা নেই। নানাভাবে ভ্যাট সম্প্রসারণ করে জনগণের ওপর নির্যাতন করেও রাজস্ব বাড়াতে পারছে না। নিজস্ব লাভের জন্য বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করে সরকার আটকে গেছে। এখন আধা সরকারি-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যা টাকা আছে সব সরকারকে দিতে হবে।  

মহাসড়কের টোল আদায়ের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণের টাকায় নির্মিত সড়কে জনগণ চলাচল করবে। সেখানে কেন তারা টোল আদায় করবে? আর সড়কে যেসব গাড়ি চলে সব গাড়িইতো সরকারকে ট্যাক্স দেয়। বিদেশে বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা নির্মাণ করে, তারা টোল আদায় করে সেই টাকা তুলে নেয়। কিন্তু আমাদের দেশের মহাসড়কগুলোতো জনগণের টাকায় বানানো হয়। তাহলে টোল আদায় করবে কেন?

ড. মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, আমরা আমাদের দল পুনর্গঠনের জন্য জেলা-উপজেলায় কাউন্সিল করতে চাইছি, কিন্তু অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের কাউন্সিল আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। এদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নেই। আমরা আমাদের দলে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করতে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টাকেও আজকে সরকার নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দল নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।