তিনি বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিলের বিষয়ে তারাই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের ব্যাপার।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
‘কাউন্সিল কবে-কখন হবে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদল কীভাবে কমিটি গঠন করবে, সেটি যারা ছাত্রদলের দায়িত্বে আছেন তারাই বলবেন।
‘চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেওয়া বৈধ কি-না?’ এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেইভাবে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশটি হঠাৎ করেই এসেছে। সবার অগোচরেই এটা সবার সামনে এসেছে। বিষয়টি সত্যিই রহস্যজনক। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়, এ বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ আছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের নুন্যতম পরিবেশ থাকুক সেটা চায় না। দুঃখজনকভাবে তারা আদালতকে ব্যবহার করছে। যেটা গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্রের জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য কখনও সুখকর নয়। একটা দল আসবে, একটা দল যাবে। কেউ যদি মনে করে, যতদিন পৃথিবী থাকবে, তারাই থাকবে, কোনো পরিবর্তন হবে না; তাহলে বলতে হবে, তারা পুরোপুরি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। যারা রেজিমেন্ট গভর্নমেন্ট চালায়, তাদেরকেও চলে যেতে হয়।
‘বর্তমান সরকার একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করছে, যেটা খুব ভয়াবহ। আদালতকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম, গত দশ বছর ধরে এই কাজটিই তারা করছে। ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম আইন-কানুন তৈরি করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে নিচ্ছে। বিগত নির্বাচনেও আমরা দেখেছি, কতজন প্রার্থীকে তারা বাতিল করে দিয়েছেন। আদালতকে দলীয়করণের দিকে নিয়ে যাওয়া দেশ ও জাতির জন্য শুভ কিছু বয়ে আনতে পারে না।
আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত জাহান বিথি এ আদেশ দেন। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ নেতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএইচ/এসএ