এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আমান উল্লাহর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় কুমিল্লা মহানগর যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় কুমিল্লা সদরের বলেশ্বর গ্রামে আমান উল্লাহর বাড়িতে তাকে খুঁজতে যায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আমান উল্লাহর ভাবি খাদিজা বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর নেতৃত্বে ২৫টি মোটরসাইকেল করে প্রায় ৫০/৬০ জন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী আমাদের বাড়িতে আসে। তারা আমান উল্লাহকে খুজঁতে আসে। এসময় তারা আমান উল্লাহ কোথায় আছে জানতে চায়। পরে পুলিশ আসার খবরে তারা বেরিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, আমান উল্লাহর বাড়িতে যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করেছে এমন খবর একটি গোয়েন্দা সংস্থা মারফত জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক ইনচার্জ (এসআই) তপন কুমার বাগচী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ আসার খবরে নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত জাহান বিথি এ আদেশ দেন। একই আদেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ নেতাকে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থায়ীভাবে কেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
ওএইচ/