দীর্ঘ এ সময়ে জেলা বিএনপি নেয়নি কোনো অস্থায়ী কার্যালয়। তবে সিদ্ধিরগঞ্জে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের নিজস্ব কার্যালয়টি তিনি বর্তমানে দলীয় কাজে ব্যবহার করছেন।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়টি ভেঙে দেওয়া হয়। এর আগে আদালতে কার্যালয়টি না ভাঙতে মামলা করেছিল বিএনপি। সে মামলায় জয়ী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) কার্যালয়টি ভেঙে ফেলে।
মামলায় পরাজিত হয়ে উপায় না পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিক মেয়র আইভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অস্থায়ী কার্যালয়ের জন্য বললে আইভী তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের জন্য স্থান দেখতে বলেন। তবে দীর্ঘ আড়াই বছর পার হলেও সে স্থান ঠিক করতে পারেনি জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমন অবস্থায় কার্যালয়হীন নেতাকর্মীরা নিজেদের বসার বা আলোচনার কোনো স্থান পাচ্ছেন না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন জানায়, ২০১৩ সালের মার্চে জেলা বিএনপির কার্যালয় ও এর নিচতলায় অবস্থিত দোকান মালিকদের অনেক আগেই বলা হয়েছে সেখানে নয় তলাবিশিষ্ট মার্কেট ভবন করা হবে। এর মধ্যে এখানকার ভবনে নিচতলায় যেসব দোকান মালিকেরা রয়েছেন তাদের নতুন ভবনের নিচতলায় অনুরূপ আকৃতির দোকান দেওয়া হবে।
এছাড়া দ্বিতীয় তলায় থাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়টিও অনুরূপ আকৃতির করে দেওয়া হবে। কারণ বিএনপি কার্যালয় ও দোকান মালিকেরা আগেই পজিশন কিনে নিয়েছেন। এ কারণেই তাদের কেনা পজিশনের আকৃতি অনুযায়ী নতুন ভবনে জায়গা দেওয়া হবে। চার তলার পর করা হবে আবাসিক ফ্ল্যাট।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, আমি যতদিন দায়িত্বে ছিলাম কার্যালয়টি আমি নিজের সন্তানের মতো করে আগলে রেখেছি, নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে নিয়মিত কর্মসূচি করেছি। আমি তো হাইকোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিলাম এ কার্যালয়ের জন্য।
তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের মনে আজ রক্তক্ষরণ হয়, কারণ দলের নেতারা ঘরে বসে দলীয় কাজ করে। বিএনপিতো কারো ঘরে বন্দি দল না। তাই বিএনপির একটি কার্যালয় অবশ্যই দরকার। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনে কেউ চাপও প্রয়োগ করে না। আমি নেতাকর্মীদের এই রক্তক্ষরণ বন্ধে কেন্দ্রের হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এএ